লেখক

Sujit

I am me, me who hide thousands of words.
S

সুর

তোমার কি কেউ কখনও খোঁজ নিয়েছে?তোমার দুঃখ গুলো শুনতে চেয়েছে?বলেছে কি তোমার দুগাল ভিজে যায় কেন, যদি আমার জন্য হয়, তাহলে একশ জনম তোমার জন্য লিখে দিলাম আমাকে।প্লীজ তুমি আমাকে তোমার অন্তর দাও, আমি দুঃখ গুলো ভাসিয়ে দিব।কেউ কি তোমার বুকে মাথা রেখে, তোমার হৃদয় স্পন্দন শুনতে চেয়েছে।তোমার শরীরের পশম গুলো শির শির করে উঠেছে তার আবেশে?নাকি ঘরের কোনে চুপটি মেরে, মুখ ফুলিয়ে কাঁদো? আর বল আমাকে যদি কেউ একটু ভালোবাসতো?তুমি জানো তোমার অন্তর কেউ ছুয়ে দেখবে না, তোমার ব্যথাগুলো ভুলিয়ে দেবে না।তুমি ভালবাসবে তাকে, একা, অনন্তকালের জন্য।

ভাল রাখা

কাউকে ভাল রাখতে হয়ত কারো জীবন দিয়ে দিতে হয়, অথবা কেউ সামান্য কিছুতে ভাল থাকে।আপনি কাউকে ভীষণ ভালবাসেন আপনি অবশ্যই চাইবেন সে যেন ভাল অনুভব করে আপনার কাছে।আপনার থেকে যেন কোন কষ্ট না পায়। আপনি তাকে আপনার জীবনের একজন গুরুত্তপূর্ণ মানুষ বানান।ধরেন আপনি তাকে অনেক চেষ্টা করেও ভাল রাখতে পারছেন না। সে মনে করে আপনি তাকে প্রেসার দিচ্ছেন, সে কষ্ট অনুভব করে।তাহলে এইজে আপনি অনেক ভালবাসলেন তার মূল্য কোথায়? প্রশ্ন হয়ে যায়না আপনার ভালবাসায়?পৃথিবীর প্রত্যেক টা প্রেমিক অথবা প্রেমিকা চায় তার ভালবাসার মানুষ কষ্টে না থাকুক। সে যেন সুখী থাকে, কোন প্রেসার অথবা পেইন না অনুভব করে।কিন্তূ যদি আপনি না চাইতেও তাকে কষ্ট দেন, প্রেসার দেন।এটা কি তাহলে আপনার ভালবাসা হল? তাহলে কি করা যায়, কিভাবে তাকে ভালো রাখা যায়, অবশ্যই যাতে সে প্রেসার অনুভব করে সেগুলো না করা। কিন্তূ যদি আপনি চাইতেও তার কাছে আপনি সেই একই হলেন, যে তাকে ভালো রাখতে পারছেন না।এখানে তাহলে আপনি তাকে জোর করে ভালবাসতে চাইবেন অথবা চাইবেন সে যেন ভাল থাকুক।আপনি যদি সত্যি তাকে খুব ভালবাসেন অবশ্যই চাইবেন সে যেন প্রেসার অথবা পেইন না অনুভব করে।তাহলে কি করতে হবে? হ্যাঁ যতই কষ্ট হোক আপনার তার জীবনে থেকে চলে আসতে হবে। তাকে নিজের সুখ খুঁজে নিতে দিন। আপনি চান সে যেন ভাল থাকুক।তার সাথে আপনি যোগাযোগ না রাখলে, কথা না বললে হয়ত আপনার পাজর বেয়ে কান্না আসবে। নিজেকে সামলাতে পারবেন না। তবুও তো সে কষ্ট পাবেনা আপনার থেকে। মুক্ত করে দিয়ে ভালবাসা যায়, আপনি ভালবাসলেন একা, সে জানলো না, বিরক্ত ও হলনা।হয়ত আপনার কিছু দিনের আপনাকে পাওয়ার অভ্যাস তাকে জ্বালাতন করবে। সে ঠিক করে নিবে কোন এক সময়।কিন্তূ আপনার কি হবে? তাকে ভাল রাখার জন্য নিজের সব কিছু বিসর্জন দিয়ে আপনি একা আত্মা।আপনার বোবা আর্তনাদ হবে, কষ্ট পাবেন, শেষ হয়ে যাবেন, একা একা ভালবাসবেন, মিস করবেন।তবুও তাকে আর কষ্ট পেতে দিবেন না আপনার মাধ্যমে।একটাই কথা হবে আপনার, সে যেন খুব ভাল থাকুক।

প্রাণ

মাঝে মাঝে ভালবাসা টিকিয়ে রাখার জন্য, দূরে সরে আসতে হয়।আপনি কাউকে খুব ভালবাসেন, জীবনের সব টুকু দিয়েই ভালবাসেন। তাকে ছাড়া বাচা আপনার জন্য হৃদয় ছাড়া জীবনের মত।হয়ত সে আপনার সাথে অনুভব শেয়ার করতে চায়না, আপনার আঙ্গুলে আঙ্গুল গুঁজে হাঁটতে চায়না। আপনার চোখের মায়ায় পড়তে চায়না।আপনি কথা না বললেও তার যায় আসেনা। আপনার সাথে তার কথা হয় অনেক দিন, ঝগড়া টুক টাক লেগে থাকতো। এই ঝগড়ার মাঝে আপনাকে এমন কিছু বলে ফেলতো, আর বাঁচতে ইচ্ছে হতনা। নিজের ভালবাসার উপর প্রশ্ন উঠে আসতো।আপনাকে বলত, যেন আপনি তাকে মেসেজ না দেন, বার বার আপনার কাছ থেকে দূরে যাওয়ার আর্তনা করতো, তার চোখে মুখে আপনার জন্য বিরক্তের ছাপ অনুভব করতে পারতেন। আপনি যেখানে তার মাঝে আপনার জন্য একটু অনুভূতি দেখবেন সেখানে শুধু বিরক্ততা। আপনার প্রতি তার অনুভূতি কোন সামান্য কারণে পাল্টে যেত। আচ্ছা তাহলে ভালবাসা এত সস্তা? একটু কথাতেই সব পাল্টে যাবে? তার প্রতি আপনার যে তীব্র ভালবাসা, সে সেই ভালবাসা টাকেই বিরক্তির চোখে দেখতো।আপনি গিয়েছিলেন তার কাছে, আপনি জোর করে ঢুকতে চেয়েছিলেন তার বুকের এক কোণে। সব শেষে বলতে চেয়েছিলেন ভালবাসি খুব।কিন্তু এগুলা তার কাছে বিষয় না, তার ক্যারিয়ার আছে, সুন্দর একটা ভবিষ্যৎ আছে। সেগুলো আপনার এই কেন্দ্রিক ভালবাসা দিয়ে নষ্ট করার অধিকার নেই তাইনা? আপনি তাকে ভালবাসেন, কখনও তাকে ছাড়া চলে আসার সাহস হবেনা, কিন্তু তবুও কিছু পরিস্থিতি হয়ে যায় যখন অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন। নিজের কষ্ট গুলো আর সামলে রাখা হচ্ছেনা, তার প্রতি যেন একটুও ঘৃনা তৈরি না হয়, তার জীবনের লক্ষ্য যেন চুৎ না হয়, এজন্য আসতে হয়।তাকে জীবনে আপনার থাকা না থাকা যায় আসেনা। আপনার অভিমান এমন এক পর্যায়ে পৌঁছালো মনে হতে লাগল, আপনি আপনার ভালবাসাকে কষ্ট দিতে পারেন, তাকে আপনার কথার মাধ্যমে কিছু একটা বলে বসতে পারেন। সে ভাবতে পারে তাকে আপনি ব্লেম দিচ্ছেন, ইনসাল্ট করছেন। আদৌ কি সম্ভব? আপনাকে যদি আমি ভালবাসি, আপনাকে কিভাবে ব্লেম করবো, ইনসাল্ট করবো। এ আপনার দ্বারা মরে গেলেও সম্ভব না। কিন্তু সে মনে করতে পারে।আচ্ছা এত কিছুর পরেও যখন আপনি সব কিছু ভুলে তাকে মানাতে যান, তার হাত পা ধরে বসে থাকেন যেন আপনাকে ছেড়ে না যায়। মানে আপনি আপনার ভালবাসা টিকানোর জন্য আপনার ভালবাসার মানুষের পা ধরে থাকেন। কত অধম আপনি। এসব ব্যাপার না, আপনি শত শত কস্ট উপেক্ষা করে তবুও থাকেন, আজ না কাল আপনাকে কাছে ডাকবে, বুঝতে পারবেন তার হৃদয়ে আপনার গুরুত্ব অনেক। সব ভুলে থাকতে যান।কিন্তু কিছুই হয়না, তার কাছে আপনার মূল্য আপনি খুঁজে পান না।আচ্ছা আপনাকে যদি আমি অনুভব না করাই আপনাকে আমি ভালবাসি, আপনি কোনদিন বুঝবেন? সেরকম এই আপনার প্রতি তার গুরুত্ব টা নেই বলে হয়ত বুঝাতে পারেনি।তার কাছে প্রেম ভালবাসা ম্যাটার করেনা। হয়ত জীবনের প্রতি সে খুবি বিরক্ত। আপনি চেয়েছিলেন আপনি এসে সব কিছু ভুলিয়ে দিবেন, কিন্তু আপনার জন্য তার দুয়ার বন্ধ।তবুও আপনি বেহায়াপনা করতেন। বারবার তার কাছেই যান, যদি একটু তাকায় সে। কিন্তু এই বেহায়াপনা করতে করতে দেখলেন, আপনি তাকে বিরক্ত করেন। সে আপনার কথা শুনলেই প্রেসার অনুভব করত, মাথা ব্যাথা বেড়ে যেত। তার সুন্দর মুড নষ্ট হয়ে যেত। আপনি তাকে এত ভালবাসেন, আপনার জন্য তার এমন হোক আপনি চাইবেন? কখনও না, তবুও আপনি নিজের সব কিছু দমিয়ে রেখে ঠিক রাখতে চাইবেন, কিন্তু আপনি তো আবনরমাল টাইপের। পারলেন না রাখতে ভালো।ঘুরে ফিরে তাকে আপনি প্রেসার দিবেন। অনেক অনেক কথা শুনিয়ে দিবেন। ভালবাসলে মানুষ তার প্রিয় মানুষকে ভাল রাখে, খুশি রাখে। কিন্তু আপনি বিরক্ত করছেন।আপনি জানেন তার কাছ থেকে চলে আসলে আপনার বাঁচার ইচ্ছে হারিয়ে ফেলবেন। চোখের বারিতে বালিশ ভিজে যাবে। কিন্তু এ শুধু আপনার সাথেই হবে। কারণ, ভালবাসা আপনার কষ্টও আপনার।আপনাকে সে মনে করতে পারে অনেক কিছু, যে তাকে মানিয়ে রাখার ধৈর্য আপনার নেই। আপনার ভালবাসা দু দিনের। তাকে আপনি বুঝতে চান না। আপনি অন্য ছেলদের মতই একি।কিন্তু আপনি জানেন এবং নিজের সাথে যুদ্ধ করে যেতে হবে সারাটি জীবন। যাকে নিয়ে এত স্বপ্ন বানালেন, সে থাকবেনা, তার কাছ থেকে আপনার দূরে চলে আসতে হবে। এর থেকে কষ্ট আর কিসে আছে? দূর থেকে প্রতিদিন তার জন্য জীবনের প্রাপ্তি পূণ্য থেকে আশির্বাদ চাইবেন সে যেন ভাল থাকে। সুন্দর একটা ভবিষ্যৎ বানায়।অবশেষে আপনি একা, আপনার ভালবাসা যেন আপনার খাঁচায় বন্ধী থাকে। আপনি যাতে সারাজীবন তাকে যে ভালবাসসেন সেটা বহন করতে পারেন। আপনি সেই মানুষ যার একটি মেসেজ এর জন্য হাজার হাজার বার স্ক্রিনের দিকে চেয়ে থাকতেন। তাকে একটু শোনার জন্য কত আর্তনাদ করতেন। তাকে যেন আঘাত না করেন, নিজেকে সামলে ফেলতেন। সব কষ্ট দূরে ফেলে শুধু ভালবাসতেন। তবুও তাকে ছেড়ে আসতে হল। শুভ কামনা জানিয়ে দিল আপনাকে। কিন্তু আপনি যে এখন মৃত আপনার কিছুই নেই সে কি জানে? আপনি আবার ভাবেন হয়ত সে আসবে এসে বলবে, কথা বলনা কেন আমার তোমাকে ছাড়া থাকা সম্ভব। প্লিজ আমাকে ছেড়ে যেওনা। কিন্তু এগুলো খাম খেয়ালী বানানো স্বপ্ন, যা শুধুই আপনার স্বপ্ন। সে আসবেনা আপনার কাছে। তার আপনাকে প্রয়োজন নেই। তার হৃদয়ে আপনার জন্য মায়া, অনুভূতি নেই।থেকে যাবে কিছু কথা অন্তরালে….. হারিয়ে যাবে মানুষ। ভুলে যাবে কে ছিলেন……

আকুতি

অশ্রু বারি নয়ন আমার, ঝাপসা লাগে চারপাশ।অনুভূতি গুলো নিয়ন্ত্রণ করার ধৈর্য হারিয়ে ফেলেছি। কথা বলার শক্তি নেই, হতাশা কষ্ট জাপ্টে ধরে আছে।দূর্মুর করে হৃদয়ে বর্ষণ হচ্ছে, কালো ধোঁয়া আমাকে গ্রাস করে ফেলেছে।স্বপ্নগুলো কাঁচের মত টুকরো টুকরো হয়ে গেছে।মনে হচ্ছে মরুভূমির মাঝখানে দাড়িয়ে আছি, কোথাও কিচ্ছুটি নেই।দাবানলে আছড়ে পড়েছি, সেকি এক দুর্বিষহ কষ্ট।পাঁজর বেয়ে শীতল হাওয়া বইছে, অদ্ভূত এক মায়া আমাকে হাতশানি দিচ্ছে।এই পৃথিবীতে যেন আমার এক বিন্দু ঠাই নেই।তবুও হাসি, তবুও অপেক্ষা করি। তবুও হৃদয়ে আশার আলো জ্বালিয়ে আছি।তুমি আসবে এসে আমার মলিনতাকে দূরে ঠেলে, হৃদয়ে জাপ্টে থাকবে।আবারো মিথ্যে স্বপ্ন বোনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।তুমি আসবে………….

মুহূর্ত

জীবনের সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্ত প্রিয়জনের সাথে কাটানোর থেকে বেশি সুখ আর হয়না।আপনি কাউকে খুব বেশি ভালবাসেন। তার সাথে ইচ্ছে হবেনা সুন্দর একটা সময় কাটাতে? এবং সেই সময় যদি হয় শুধু আপনার আর তার।সুন্দর মুহূর্ত তখনি সুন্দর হয়, যখন আপনার প্রিয় মানুষটি হৃদয়ে হৃদয় রেখে পাশে থেকে আপনার সাথে উৎযাপন করে।এর থেকে জীবনে আর প্রাপ্তির কি আছে? এর থেকে সুখের আর কি আছে জীবনে?আবার কিছু অভাগা থাকে, তাদের প্রিয় মানুষ থাকতেও তাকে ছুঁতে পারেনা, তার সাথে নিজেকে মিশাতে পারেনা, তার হৃদয়ে নিজের অবস্থান টা ঠিক রাখতে পারেনা।এটা হলো গুরুত্ব অথবা স্পেশাল মানুষ হওয়া। আপনি তাকে আপনার জীবন ভেবে বসে আছেন অপরপাশে আপনার জন্য তারা বিন্দু মাত্র মায়া হয়না। আপনাকে তার জীবনের গুরুত্বপূর্ন মানুষ মনে হয়না। এইযে এক তীব্র কষ্ট আপনাকে দিনে দিনে শেষ করে ফেলবে।কি অভাগা এই মানুষ গুলো, জীবনের সব টুকু দিয়ে ভালবেসেও তার প্রিয় মানুষের কাছে স্পেশাল হতে পারেনা।গোলাপের পাতার মত শুকিয়ে যায় চোয়াল। নিজেকে অসহায় লাগে। তীব্র ক্ষোভ অনুভব হয় নিজের উপর। কেন আমার এত ভালবাসতে হবে তাকে। এরা কোন উত্তর পায়না, নিজেকে আর ভালবাসতে পারেনা। হারিয়ে যায়। মৃতু মিশিল নিয়ে বের হয়।তিমির বুকে নিশাচর হয়ে পারি দেয় দক্ষিণ হওয়ায়।

নিলয়ের অভিমান ১

নিলয় আজ বাড়ীতে আসছে, বাবা মা এবং খ্রিস্টমাস দেখতে।ঘুম থেকে উঠে সরাসরি তার ম্যাডাম কে মেসেজ দিল, কিন্তু ম্যাডাম ব্যস্ত তার কাজ নিয়ে। বিছানাতে কিছুক্ষণ থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে কাজে বসল। দুপুর এল নীলয় খানিক কাজের ফাঁকে চেক করে যাচ্ছে ম্যাডাম রিপ্লে দিচ্ছে কিনা। ম্যাডামের ফ্রি সময় পেয়ে রিপ্লে দিল, কিছু কথা হল।নিলয় প্রস্তুত হয়ে বাড়ি যাওয়ার উদ্দশ্যে রওনা দিল। চলার ফাঁকে তবুও সে তার ম্যাডাম কে মিস করতে থাকল। ম্যাডাম ব্যাস্ত, তার কি সময় আছে নিলয়ের জন্য।নিলয় বাড়ির সামনের অনুষ্ঠানে এসে পৌঁছালো। মা বাবার সাথে অনুষ্ঠানেই দেখা হয়ে গেল। বন্ধুদের সাথে আড্ডা হল। রাত বেশি না হতেই বাড়ি ফিরে এল। তবুও সে সব কিছুর ফাঁকে চোখ মিলিয়ে নিচ্ছে ম্যাডাম কি তাকে মেসেজ দিয়েছে। কি করতেছে সে। কিন্তু ম্যাডামের কোন খোঁজ নেই।একটু পরেই নিলয়ের দেওয়া কিছু মেসেজের পর উত্তর আসল ম্যাডামের কাছ থেকে। এদিকে নিলয় ম্যাডামের সাথে কথা বলার তীব্র ইচ্ছা প্রকাশ করল। ম্যাডাম প্রতি উত্তরে বলল কথা হবেনা বাড়িতে মা বাবা বকছে রাতে বেশি কথা বলার জন্য।নিলয় ভাবল এ হয়তো তার জন্যই হয়েছে, কারণ তার ম্যাডাম শুধু তার সাথেই বেশি রাত অব্দি গেম খেলে কথা বলে। নিলয় বুঝলো সমস্যা তাহলে সেই তৈরি করেছে। নিলয় বললো ঠিক আছে তাহলে কথা বলতে হবেনা আপনার। নিলয় ভেবেছিল ম্যাডাম হয়ত তাকে মেসেজ দিয়ে কথা বলবে। কিন্তু ম্যাডামের তার জন্য সময় নেই, তার মন মেজাজ ভাল নেই, সে ব্যাস্ত। নিলয় একা একা মিস করতে লাগলো বলতে পারলনা। ক্লান্তি তার ঘুম পরিয়ে দিল, হটাৎ মাঝ রাতেঘুম ভেঙে উঠলো দেখল ম্যাডাম তখনও ব্যাস্ত।নিলয় তবুও তার ম্যাডাম কে মেসেজ দিল। উত্তর দিল, ঘুমান। আমিও এখন ঘুমাবো।নিলয় কিছুক্ষণ চুপ করে রইল। অভিমানে হৃদয় ভারি হয়ে গেল। সারাদিন তেমন কথা হয়নি। এখনও একটুও কথা বলতে চাইলনা। অনেক চেষ্ঠা করলো এইগুলো বলার যে নিলয় ম্যাডামকে মিস করছে, একটু কথা বলতে চাচ্ছে। সাহস হলনা, যদি ঝগড়া বেধে যায়।ম্যাডামের জীবনে নিজের অস্তিত্ব খুঁজে পেল না। নিলয়, চুপসে গেল। মলিন মুখে পথ চেয়ে থাকল, ডাটা অন করে রাখল যদি ম্যাডাম মেসেজ দেয়। যদি একটু কথা বলতে চায়। নিলয় কি জানে? নিলয়ের প্রতি ম্যাডামের অনুভূতি নেই, ম্যাডাম নিলয় কে মিস করেনা। ম্যাডামের জীবনে নিলয়ের থাকা না থাকা ভিত্তিহীন।নিলয়ের অভিমান ১

রক্তক্ষরণ

পাঁজর বেয়ে হৃদয়ের ব্যথার রক্তক্ষরণ হয়। হারিয়ে যায় ব্যথার মিছিলে।আপনি কাউকে ভালবাসেন, খুব বাসেন। ইচ্ছে করে তার কাছে সব সুখ দুঃখ জমা রাখতে।আপনাকে হয়ত তার ভাল লাগে, কিন্তু ভালবাসতে পারেনা। আপনার হৃদয়ের ক্রন্দন শুনেনা। আপনার গাল বেয়ে দুঃখ নামার সাক্ষী হতে চায়না। আপনার ভিতরে জ্বলা তীব্র ব্যথার দাবানল ছুঁতে পারেনা।আপনার খাম খেয়ালী অভিমানের পাত্তা নেই তার কাছে। আপনার তার সাথে কথা বলার আকাঙারমাইনে নেই তার কাছে।আপনি কাউকে ভালবাসছেন সে আপনাকে ভালবাসেনা। আপনার প্রতি তার কোন টান অনুভব হয়না। ভালবেসে এসে জড়িয়ে ধরেনা। আপনাকে মিস করেনা। আপনার সাথে কথা বলার আগ্রহ দেখায় না।তার জীবনে আপনি না হলেও তার যায় আসেনা। আপনার ভূমিকা নেই তার কাছে।তবুও আপনি ভালবাসেন, মিস করেন, খুব মিস করেন। অপেক্ষা করেন, মূল্য পান না। একা একা নিজেকে শতবার দোষারোপ করেন। নিজেকে বদলে ফেলার হাজার হাজার চেষ্টা করে বিফলে যান। ঘরে ফিরেন একা, দুঃখ গুলো গায়ে জড়িয়ে মিলিয়ে যান একাকীত্বের মাঝে। শত শত স্বপ্ন অনুভূতি ভালবাসা ভেসে যায় ধুলোয়। কেউ দেখেনা কেউ বুঝেনা। যেখানে শুধু আপনি এবং আপনার নির্বাক অনুভূতি।

মায়ামৃত্

কার আসবে যাবে? যেখানে চিত্ত শুধু আমার।মলিন মৃৎ চিত্ত, রাতের শিশির কনার মত চুয়ে পরে।

গল্প আমার ভালবাসা আমার, ক্ষত পাথর মৃত্। তিমির বুকে ভাসিয়ে বেড়াই নীরব অন্তরালের গল্প।

ইচ্ছে গুলো ছাই হয়ে যায়, ছুঁতে পারিনা। সংকটে আমার বিকীর্ণ অন্ত আত্মা।

কি অভিলাষ, কি নিপীড়ন। মন বুঝেনা মন পোড়া ঘ্রাণ।

নীরব চোখের পাশ বেয়ে গড়িয়ে পরে রোদন বারো মাস। তুমি ভীষণ খবর রাখো, যেখানে আমি শূণ্য।

তোমার হরিণী চোখের কোণে, জাকজমোক হাস্য খেলে। বোবা মন নিরবে ঝড়ায় বেদনার শিশির বিন্দু।

খামখেয়ালী ভালবাসা, অপূর্ণ সব ইচ্ছে মায়া সবই এখন বন্ধি খাঁচা।

কি নিয়ে গল্প করি, লেগে যায় দ্বিধা দ্বন্ধ। ভুলের মাশুল দিতে হয় জানি কিন্তু তোমার দরজা বন্ধ।

আকাশের বিশাল পণে চেয়ে ভাবী, তুমিও কি ভাবছো? বাতাসের মাঝে ছড়িয়ে দিই আমার যত আভাস।

আঘাত আমার কানায় কানায়, বললে কিছু দিন-রাত বয়ে যায়, ঠাই মিলেনা তোমার পাড়ায়।

প্রতি দীর্ঘশ্বাস জানে, ব্যাথা কোথায়, জোৎস্না জানে রাত কোথায় হারায়।

তোমার মৃদু কন্ঠ বাজে , আমার বিশাল অনন্ত মায়ায়।

ছক এঁকেছি বিদায় নেবার, তুমি আর পাবেনা আমায়, ব্যাথা আর দিবনা তোমায়।

ভালবাসে

মানুষ ভালবাসে, তার প্রিয় মানুষকে পাওয়ার জন্য। লেগে থাকে এবং হয়ত তার প্রিয় মানুষ কোন এক সময় তাকেও ভালোবাসে।অল্প কিছু মানুষ আছে সে জানে তাকে, তার ভালোবাসার মানুষ কখনও ভালোবাসবেনা। সে তবুও তাকে ভালোবাসে। তবুও প্রিয় মানুষের ভালোবাসার সাধ অনুভব করে। একটু কথা বলতে পারলেই যেন। কণ্ঠ নালি ভিজে উঠে।শত বাধা শত কষ্ট সব কিছু উৎরে উঠে শুধু তাকেই ভালবাসে।যদি তাকে আপনি জিজ্ঞেস করেন, তুমি কেন তাকে ভালোবাসো। তোমাকে সে ভালোবাসেনা, তোমাকে ভালোবাসতে চায়না। তোমার অনুভূতি বুঝতে চায়না। তবুও কেন তুমি তাকেই ভালবাস?উত্তরে বলবে, আমি তো তাকে ভালোবাসি। আমি ভালোবেসে কিভাবে না ভালবেসে থাকব। আমি তো তার হয়ে গেছি। আমি তার মাঝে হারিয়ে গেছি। আমি তাকে ভালবেসে ফেলেছি। আমি পারবোনা তাকে ভুলে যেতে।এদের কোন চাওয়া পাওয়া নেই। এরা জানে কেউ এদের ভালোবাসবে না। তিমির অন্ধকারের মত জীবন তাদের।এরা নিশাচর, রাত ভর কল্পনাতে গল্প করে। অনুভূতি গুলো জাপ্টে ধরে শুয়ে থাকে। বালিশ জানে কত দুঃখ এদের।তবুও তারা ভালবাসে, মন প্রাণ দিয়ে ভালবাসে। প্রহর গুনে জীবনের শেষ অধ্যায় পর্যন্ত। মলিন মৃৎ প্রাণ।

হৃদয়

হৃদয় কে যদি পরিমাপ করানো যেত, কত ব্যাথা লুকোনো আছে। বোকা প্রেমিকরা তাহলে মাপকোঠাকে পিছিয়ে ফেলত।কি দারুন সৃষ্টি। হৃদয়ের ব্যাথা আপনার পুরো জীবনকে উপলব্ধি করিয়ে দেয়। কি ছিলেন কি হয়েছেন।কারো হৃদয় ভাঙ্গে, কারো হৃদয় গড়ে, কারো হৃদয় ভেঙে বেরিয়ে আসে কান্না।কেউ দেখাতে পারে, কেউ বুঝাতে পারে, কেউ সয়ে যায় জীবন ভরে।যার হৃদয়ের ব্যাথা দেখার কেউ নেই, সে পৃথীবির সবচেয়ে অভাগা। নিজেকে মৃত্যু মানব মন হয়।হৃদয় হয়ত এক সময় পুড়ে পুড়ে কয়লা হয়ে যায়। আগুন ছাড়া তখন চলতে পারেনা। তখন এই ব্যাথাই হয় হৃদয়ের ভালোবাসা।এই ভাঙ্গা হৃদয় চাইলে কেউ খুব ভালবেসে রঙিন করতে পারে। কেউবা আবার এসে ভাঙা হৃদয়টাকে আবার চূর্ণ বিচূর্ণ করে ফেলে।ভালোবাসা তখন ফিকে লাগে, হৃদয় হারিয়ে যায় হৃদয় থেকে।হৃদয় তখন স্তব্দ হয়ে যেতে চায়, মুছে ফেলতে চায় আপনার সব ভালোবাসা। বিদায় নিয়ে ভেসে যেতে চায় মহাবিশ্বের অন্তর্জালে।

Recent Posts