লেখক

Sujit

I am me, me who hide thousands of words.
S

বেহায়া

ভালোবাসাতে বেহায়া না হলে সেগুলো কখনও ভালোবাসা হয় নাকি।আপনি কাউকে ভীষণ ভালবাসেন, হয়ত সে আপনাকে ভালবাসেনা। তার কাছে আপনি বেহায়া হতে একটুও আটকাবেন না।আপনি তাকে মিস করতেছেন, সে আপনাকে মিস করতেছেনা আপনি জানেন তবুও মিস করেন।

সে আপনাকে ভালোবাসেনা জানেন তবুও আপনি তাকে ভালবাসেন। মনে করেন আপনি তার উপর অভিমান করে আছেন, সে বুঝলোনা অথবা বোঝার চেষ্টাও করলনা। আপনি বোকা মানুষ তার জন্য অপেক্ষা করলেন। সে আসলনা কাছে ডাকলনা।ওদিকে আপনি তাকে বড্ড বেশি মিস করতেছেন। শেষমেষ আপনিই তার কাছে এলেন, আপনি তাকেই সরি বললেন। কারণ আপনি তাকে ভালবাসেন। এভাবে হাজার বার করবেন কারণ আপনি বেহায়া, আপনি অসহায়।আপনাকে একটু হেসে কথা বলবে, ভুলে যাবেন কি হয়েছিল, আপনার অনুভূতি তখন এক পাস হয়ে যাবে। নিজেকে হারিয়ে বসবেন। কারণ আপনি ভালোবাসা খুঁজেন, একটুর জন্য সব ইচ্ছা, অনুভূতি সব মাটি চাপা দিয়ে দিবেন। আপনি জানেন হয়ত আপনার অনুভূতি তার কাছে গুরুত্বহীন। আপনি তবুও যত কথা আছে বলে দেন, বেহায়া যে আপনি।সে আপনাকে হয়ত বুঝতে চায়না, হয়ত ইচ্ছে নেই তার অথবা ব্যস্ত যে, আপনার ভাঙ্গা হৃদয় টাকে একটু উকি দেওয়ার। তবুও আপনি একগাদা আশা নিয়ে অপেক্ষা করবেন আজ বুঝি আলোক সজ্জা হবে আপনার জীবন।আপনি জানেন এসব মিথ্যে, আপনি হারিয়ে যেতে চান তিমির আঁধারের বুকে। পারেন না পারবেন না।চেষ্টা করবেন সব কিছু ভুলে থাকতে, শুধুই ভালোবাসতে, কষ্ট গুলো নিজের মগজের এক কোণে সরিয়ে রাখবেন। হ্যাঁ এটা অসম্ভব তবুও বলা হয় যে ঠিক আছি, কিছু হয়নি। আসলেই কিছু হয়নি। এগুলো কারও জন্য কোন মাইনে রাখেনা। যদি না সে আপনার সুরে সুর না মিলায়। আপনি যে বড্ড বেহায়া মশাই।

কল্পনা

আমি যদি কল্পনা না করতে পারতাম তাহলে কবেই মরে যেতাম।আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে এই আঁধার ঘেরা কল্পনা।আমার একটা কল্পনার দুনিয়া আছে, আমার মত অনেকেরেই আছে হয়ত। বাস্তব জীবনে যখন সব কিছু ফিকে লাগে, মিথ্যে হয়। তখন মানুষ কল্পনার একটা পৃথিবী তৈরি করে। সেখানে সে নিজের ভালোলাগা, ভালোবাসা, নিজের মত করে জীবন দেয়।

আপনি জানেন এগুলো মিথ্যে এর কোন মানে নেই। এগুলো হয়না তবুও বিভোর হয়ে স্বপ্ন দেখেন, কল্পনা করেন।নিজে হাসেন, নিজে কাদেন। কেউ নেই শুধু আপনি একা এবং আপনার বানানো পৃথিবী।যাকে আপনি বড্ড ভালবাসেন, হয়ত সে আপনাকে বাসেনা অথবা সেরকম পাত্তা দেয়না।তাকে ঘিরে যে পৃথিবীটা আপনি বানান, তার মর্ম আপনিই শুধু উপলদ্ধি করতে পারেন।আপনি তাকে নিয়ে অনুভব করেন হাজার রঙিন সুখ, জড়িয়ে ধরেন ইচ্ছে হলেই, চুমু খান, কখনও চেয়ে থাকেন, কখনও খোঁপায় গুঁজে দেন শিউলী ফুল, হাফিয়ে উঠলে কোলের উপর শুয়ে পড়ে দুঃখ বিলাস করেন, ইচ্ছে হলেই চেয়ে থাকেন মুখটি পণে, ইচ্ছে হলেই রান্না ঘরে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে চুমু দিয়ে বলেন, আজ একটু খাইয়ে দিবে আমাকে লক্ষ্মীটি, কেউ বাধা দেওয়ার নেই। কেউ বলেনা এই আমি তোমাকে ভালবাসিনা, তোমার প্রতি আমার কোন অনুভূতি নেই। কিন্তু এই পৃথিবীতে সে যে শুধুই আপনার।আপনাকে ভালোবাসেনা আপনি জানেন, তবুও কি অদ্ভুদ ভাবে আপনাকে সে ভালবাসে বানিয়ে ফেলেন মিথ্যে পৃথিবীতে।একটা মিথ্যে দুনিয়া আপনাকে বাঁচিয়ে রাখে, আপনাকে জীবন দেয়।আপনি কাউকে কোনদিন বুঝাতে পারবেন না, কি ছিল এই পৃথিবীতে, কেউ জানতেও চাইবেনা জানেন? কেউ তো আপনার আত্মার আত্মা না, কেউ তো আপনাকে বুঝেনা। কেউ আপনার হৃদয় খুঁড়ে না। কেউ আপনার ব্যথা দেখেনা। আপনি একটু মুচকি হেসে সবাইকে বুঝিয়ে দেন আপনি খুব ভাল আছেন, আপনার কোন ব্যাথা নেই। এই মিথ্যে দুনিয়া কখনও বুঝবেনা আপনাকে। আপনি একা শুধু একা যতদিন কেউ আপনার এই মিথ্যে পৃথিবী ভেঙে সত্যি বানিয়ে না ফেলে। কিন্তু তা না হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ।রাত পেরোলেই দিনের আলোয় ভেঙে দেয় গহীন অন্ধকারের গোপন পৃথিবীটা, আবার ব্যস্ত হয়ে পরেন ক্লান্ত মন নিয়ে।

দিন শেষে আবার ক্লান্তি যখন আরাম করে চোখে, অমনি করে ভেসে উঠে গোপন পৃথিবীটা। চলতে থাকে মাস, বছর, শতাব্দী।অশ্রু ঝরে আকাশের বুক বেয়ে, বেরিয়ে আসে আবেগ, দুঃখ , ক্লান্ত হৃদয়ের ব্যাথা। নিস্তব্দ।

তুমি

তোমার চুলে বাঁধব বেণী, গুঁজে দিব দোলনচাঁপা।তোমায় নিয়ে ভাবব আমি সারা দিন বেলা।তোমার দেওয়া কষ্ট গুলো দিয়ে সাজিয়ে নিব আমার পৃথিবী।

তোমাকে না পাওয়ার ব্যাথা নিয়ে আমি বানাবো আপন নীর।তোমায় দেখতে ভীষন ইচ্ছে হলে, রইব চেয়ে আকাশ পণে।

তোমার দেওয়া স্মৃতি দিয়ে আগলে রাখবো আমার ভালোবাসার শহর কোনে।তোমাকে ভেবে জোনাক পোকার কাছে গাইব গান।তোমায় নিয়ে কল্পনায় আমার পাল তোলা নৌকো নিয়ে দিব ভাষাণ।

তোমায় ভেবে ভেবে যদি চলে যাই বহু দূরে, বুঝে নিব আমি বেসেছিলাম ভালো খুব তোমায় আনমনে।তুমি আমার হয়ে থাকবে সহস্র শত শতাব্দি। আমার পৃথিবীতে তুমি আমার, আর আমি সম্পূর্ন তোমার।

আমার ভালোবাসার পাখি।

মন খারাপ

মন খারাপ কি রোগ? শুধুই কি মন খারাপ হয়ে থাকে, নাকি পুরো ব্রেনে এটা প্রভাব ফেলে?আমি যেহেতু ভালোবাসা নিয়ে লিখি বেশী, তাই মন খারাপ ভালবাসার আঙ্গিকে নিজের অনুভূতি থেকে বিশ্লেষণ করব। মন খারাপ যেকোন সময় হতে পারে। যদি সেটা প্রিয় মানুষ থেকে হয় আর কি।

মন খারাপ কেন হয়?দেখেন আপনি কাউকে খুব ভালোবাসেন অথবা কাউকে খুব ভালবেসে ফেলছেন।আপনার প্রিয় মানুষ চাইলেই আপনাকে কষ্ট দিতে পারে। যদি আপনি তাকে খুব বেশী ভালোবাসেন।আপনি হটাৎ করে তার উপর অভিমান করলেন, কারণ টুকটাক হতে পারে অনেক কিছু, যেমন আপনার কথা না শোনা, আপনার সাথে ঠিক মত কথা না বলা।তো তখন যদি সে এই জিনিসটা না বুঝে তাহলে আপনি আরমসেই কষ্ট পেয়ে মন খারাপ করে ফেলবেন।মন খারাপের পরিমাণ দুই রকম হয়, কিছুক্ষণের আর দীর্ঘসময়ের এবং এটা নির্ভর করে আপনার ইমোশনের উপর।মন খারাপ হলে কিছুই ভালো লাগেনা, না কাজ করা যায়, না ঘুমানো যায়, না একটু গেম খেলা যায়।এই মন চট করে আবার ভালও বানিয়ে ফেলা যায়। যদি সেই প্রিয় মানুষটি এসে একবার সুন্দর করে আপনার সাথে কথা বলে। এটা আবার যদি এরকম হয়, আপনি যে বিষয় নিয়ে মন খারাপ করেছিলেন, সেটা সমাধান করেনি তবুও আপনার সাথে অন্যান্য কথার মাধ্যমে আপনি মন খারাপ কাটিয়ে উঠলেন। কারণ আপনার কাছে আপনার প্রিয় মানুষটি হেসে দু একটু কথা বললে আপনি গলে মোমের মত হয়ে যান। কিন্তু ঐযে থেকে যাওয়া কষ্ট আজ না হলেও পরের মন খারাপে পেয়ে বসে, পরের বারে মন খারাপের পাল্লা ভারী হয়। আগের কথা মনে পড়ে।এভাবে যদি সত্যি চলতে থাকে আপনি বিলুপ্ত হয়ে যাবেন। কিছু মানুষ থাকে এই মন খারাপ বলতে পারেনা। আচার আচরণে ফুটে উঠে। আবার কেউ আছে বলতে চায়না বুঝাতে চায়না এমন একটা ভান ধরে থাকে যেন কিছুই হয়নি তার।কি কঠিন পাথর বুকে নিয়ে থাকে মানে, বলেইনা যাতে এই নিয়ে দু দন্ড বেশি কথা না হয়, তাকে হার্ট না করে বসে। কি অদ্ভুদ তাইনা।এই মানুষগুলোর শেষ পরিস্থিতি কি হয় বলা মুশকিল, কেউ সব ছেড়ে ছুড়ে চলে যায়। কেউ এগুলা সাথে নিয়েই জীবন টা পারি দেয়।প্রিয় মানুষটি যদি আপনার মন খারাপ বুঝে, সমাধান করতে আছে। আপনি খুবই ভাগ্যবান। তাকে আগলে রাখুন।মন খারাপ খুউব সুন্দর।

কথা

কিছু কথা রয়ে যায় হৃদয় কোঠরে। কাউকে বলা অথবা বুঝানো যায়না কি?হ্যাঁ বলা যায় প্রিয় মানুষকে। কেউ বুঝে, আর কারও কাছে মূল্যহীন। প্রিয় মানুষ যদি বুঝে অথবা বুঝতে চায়। নিজেকে ভাগ্যবান মনে হয়, যা খুব রেয়ার।

কিন্তু যার প্রিয় মানুষ কখনও পাত্তা বা বলা কথা যদি দাম না দেয়, তাহলে হৃদয়ে কষ্টের একটা পাহাড় জন্ম নেয়। নিজেকে একা লাগে, কঠিন হয়ে পরে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা।

এর জন্য কথাগুলো আর বলা হয়না। হৃদয়ে কথার মরীচিকা পরতে থাকে। তীব্র এক জ্বালা আর কস্ট অনুভব হয়।মনে করেন, আপনার প্রিয় মানুষটার উপর একগাদা অভিমান জন্ম হয়েছে কিন্তু তাকে কোন ভাবে বলতে পারছেন না। কারণ আগে পিছে হয়ত আপনার কথা মূল্যহীন ছিল। তাই বলতে ভয় লাগে। আর কখনও বলা হয়ে উঠেনা।আস্তে আস্তে অভিমান এর পাহাড় হতে হতে, হারিয়ে যায় অতল গহ্বরে। নিজেকে অবহেলিত লাগে। তখন পরিবর্তন শুরু হয়।এই পরিবর্তন কি তাকে ভালো না বাসার? না তা কেন হবে, মোটেও না। নিজেকে পরিবর্তন হয়ে তার মনের মত হওয়া। না বেশি কথা, না বিরক্ত করা।ওদিকে কিন্তু আপনার হৃদয় ভেঙে চৌচির। কি অদ্ভুদ তাইনা? তবুও আপনি ভালোবাসেন। তবুও একটু ঠাই খুজসেন। কি অভাগা না আপনি? কথাগুলো রয়ে গেল, কষ্ট গুলো রয়ে গেল। কেউ শোনার নেই। কেউ বোঝার নেই। বড্ড মায়া লাগে।আপনার বলতে ইচ্ছে হতনা এই যে, তুমি আজকে ওটা করলেন কেন, তুমি কেন আমাকে একটু মেসেজ দিলেনা। আমার সাথে কেন একটু কথা বললেনা। কেন আমার সাথে দুগাল হাসলেনা?কেন আমার সাথে তুমি খুব করে কথা বললে না। কেন আমাকে একটু বকা দিলেনা। কেন আমাকে তোমার একজন গুরুত্বপূর্ন মানুষ বানালেনা। তোমাকে খুব মিস করছি।কিন্তু কথা গুলো, আর বলতে পারলেন না তাইনা? হাহাহা।আপনার ভাগ্য নেই। আপনি অসুখী থেকে যাবেন। শেষ অব্দি পর্যন্ত। আর কাউকে খুজিয়েন না। সবাই একই ভাবে আপনাকে না শুনে আপনার অনুভূতি মেরে ফেলবে। শুধু থাকবে আপনার নিশ্বর দেহ আর কিছু কমনসেন্স। কথা গুলো, কষ্ট গুলো রয়ে যায়, যাবে……….

ভালোবাসা

মাঝে মাঝে মনে হয়, আমি যদি একটু ভালোবাসতে পারতাম, একটু ভালোবাসা পেতাম।কখনো মনে হয়, এত বেশী অনুভূতি নিয়ে অনেক পাপ করে ফেলেছি।

আমার মতে পৃথিবীর ৫০% মানুষ চায়, তার জীবনে কেউ আসুক, যে খুব করে একটু ভালবাসুক। আমিও চাই, তবে মাত্রাতিরিক্ত হয়ে খুব ঝামেলা হয়ে গেছে। এত ইমোশন এত অনুভূতি জীবনের বড় পাপ মনে হয়।আপনি কাউকে হুট করে ভালোবেসে ফেলতে পারেন, কারণ আপনার যে ভালোবাসার খুব অভাব, মানুষের অভাব বোধ থেকে আকাঙ্ক্ষা জন্মায়। সেই তার জন্যই, আপনাকে কেউ একটু হেসে দুগাল কথা বললেই, মনে করেন এ তো আমার খুব আপন একটু জেনে দেখি। জানতে গিয়ে হল আর এক বিপদ, আপনি পরে গেলেন তার প্রেমে। এইযে আপনি তার প্রেমে কেন পড়লেন এত তাড়াতাড়ি?অনেক পয়েন্টস ভালুলেস লাগবে, কিন্তু যেহেতু আমরা সবাই এক না। তাই আপনি তার অনুভূতি জাজ বা অন্য কারও সাথে তুলনা করতে পারবেন না। তার সাথে এটা হতেই পারে এভাবে আমাদের মেনে নেওয়া উচিৎ।তো ধরে নিলেন আপনি তাকে বেশি না জেনেই আস্তে আস্তে তারে খুব আপন ভেবে ফেললেন। আর মানুষ যাকে আপন ভাবে তার কাছেই যত আবদার। মানে তাকে খুব করে ভালবেসে ফেলে।এখন এটা কিভাবে হয় ভালোবাসা? হয়ত মজা অথবা সময় অতিবাহিত করতে আপনাকে ব্যবহার করছে। আমি না বলবনা, এরকম তো মানুষ থাকে তাই না। কেউ চায় দুদিনে কাউকে পটিয়ে একদম প্রেমে ফেলে দিতে। কিন্তু হ্যা এরকম নাও হতে পারে। তা বুঝবেন কিভাবে? দেখেন আমরা কেউ ঈশ্বর না যে সব বুঝে যাব। কিন্তু আসলে কিছু মানুষকে দেখলে আসলে বোঝা যায় ওরা আসলে কেমন। মানুষ ঠকে ঠকবে, আবার হতে পারে সে আপনাকে খুব ভালোবেসে ফেলেছে। আমরা সবাই সম্বাবিলিটি তে থাকি, আসলে জানিনা কোনটা কিভাবে হবে। আমরা আশা , ভরসা, বিশ্বাস নিয়ে বাঁচি।ঠিক তেমনি আপনাকে কেউ অল্প সময়ে ভালোবাসতে পারে, আবার কেউ শতাব্দী লেগে যেতে পারে বলতে। নির্ভর করে সেই মানুষের ইমোশন, আর একাকীত্বের উপর।আপনাকে যে শতাব্দী নিয়ে জেনে ভালোবাসা বহিঃপ্রকাশ করল। আপনি তাকে নিষন্ধে ভালোবাসবেন, কারণ আপনারা দুজন দুজনকে চিনেন। কিন্তু আসলে আপনি কি জানেন এই সম্পর্ক টিকবে কিনা? না আসলে জানিনা।ধরুন ১৯৭০ এর দিকের কথা, তখন কি কাউকে চিনে বিয়ে করতো? এরা কিভাবে টিকেছিল? তারা কেউ কাউকে ছেড়ে যাবে কিভাবে জানতনা, এটাই ছিল মুল।ঠিক আমাদের ওই তাকেই ভালোবাসা উচিৎ যে জানেনা আপনাকে কিভাবে ছেড়ে যাবে। আর হ্যাঁ এই যে মানুষটি আপনাকে অল্প দিনেই, আপন ভেবে ভালোবেসে ফেলেছে। এটা আসলে কেন হয়? আমার মতে ওরা খুব ইমোশনাল ফুল। ওদের কেউ ভালোবাসেনি। ওদের কেউ খুব কেয়ার করেনি। তাই হন্যে হয়ে খুঁজে। যখন দেখে তার মনের মত মানুষ সে। আর নিজেকে আটকে রাখতে পারেনা। ভালোবেসে ফেলে।ভালোবাসা এক অদ্ভুদ সুন্দর মায়া, কার সাথে কিভাবে কখন হয়ে যায় কেউ আমরা জানিনা।কিন্তু আমাদের সবারই কম বেশী হলেও সময় নেওয়া উচিৎ। একটু জানা সবারই দরকার।আমাদের জীবন এবং তার সব কিছু অনির্দিষ্ট। কখন কি হয় আমরা জানিনা। তাই একটা সম্ভাবিলিটি নিয়ে বাঁচি আমরা। ভালোবাসুন আর সবাই ভাল থাকুন।

পসেসিভ

ধরুন আপনি কাউকে খুব বেশি ভালবাসেন।আপনি তার আছে পাশে অন্য কাউকে দেখতে পারেন না। এটা কেন হয়, আপনি কি আসলে জেলাস? নাকি অন্য কিছু।

আমার মতে এটা তিন ধরণের হতে পারে।মনে করেন আপনি যাকে খুব ভালবাসেন, সে আপনাকে আপাতত ভালবাসছে না, নতুন সম্পর্ক শুরুর দিকে। আপনার সম্পর্ক তাহলে এখনও হয়ে উঠতে পারেনি। এমত অবস্থায় আপনি তার আছে পাশে অন্য কাউকে দেখলেই, আপনার সেটা হজম হচ্ছেনা, কিন্তু কেন? কারণ আপনি তো এখনো তাকে সম্পূর্ণ ভাবে পাননি। আপনার মনে হাজার প্রশ্ন থাকতে পারে, তারা কারা, কেন আসলো, গুরুত্ব তাদের বেশি দিচ্ছে নাকি। সে কি তাদের বেশি পাত্তা দিচ্ছে, তাদেরকে বেশি সময় দিচ্ছে। এই যে কত ভয় আপনার এটার জন্য আপনি পসেসিব হয়ে পরেন। তাকে হারানোর ভয় আপনাকে পেয়ে বসে। আপনার কাছে তাদেরকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে আপনি এমনি ভাই। আপনার কাছে তাদেরকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে তারা তার ভাই, এই যেনানান খেয়াল আপনাকে আরও বেশি পসেসিভ বানিয়ে দিচ্ছে। এই বিষয় গুলো যদি সে না বুঝে তাহলে আপনার কপাল একদম পোড়া।আরেক টাইপের পসেসিভ হচ্ছে, মনে করেন তারা দুজন দুজনকে খুব ভালোবাসে। ভালোই চলছে তাদের সম্পর্ক। কিন্তু ভিতরে ভিতরে তার পার্টনার খুবই পসেশিভ। অন্য কারও সাথে কথা বলা, অন্যান্য অ্যাকটিভিটি সে নিতে পারেনা। আমার মতে সে মনে করে হয়ত আপনি তাকে তেমন ভালবাসেন না। আপনি তাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। সেও কিন্তু একই আশঙ্কা নিয়ে থাকে। এর জন্য আসলে পসেসিভ হয়ে পরে। আবার কেউ আছে, সে তার সঙ্গীকে ফোর্স করে ধরে রাখতে চায়। ব্যাক্তি স্বাধীনতা দিতে চায়না। এই সম্পর্ক গুলার আসলে মানে হয়না। সবাইকে উচিৎ ব্যাক্তি স্বাধীনতা দেওয়া। যে আপনাকে ভালোবাসবে, সব কিছুর পরেও আপনাকেই চাইবে, ভালোবাসবে।তাই সঙ্গীকে সবার বোঝা উচিৎ। যাতে একটা সম্পর্ক জীবনের শেষ অব্ধি পর্যন্ত বয়ে নিয়ে যেতে পারেন।

যেখানে সেখানে

যেখানে তোমার আমার, হয়তো হতো মিলন মেলা।সেখানে শুধুই রয়ে গেছে, বিচ্ছেদের খেলা।যেখানে প্রতিটা দিন তোমাকে শুনে ঘুমিয়ে পড়তাম আনমনে,সেখানে নেই তুমি , আর তোমার শব্দগুলো বাজেনা আমার কানে।যেখানে তোমার জন্য আমার ছিল, মিষ্টি হাসির ঝল,সেই তোমার জন্যই, আমার চোখের কোনে একটুখানি জল।যেখানে তুমি ছিলে শুধুই, শুধুই আমার,সেখানে না আমার মন মানে না, যে তুমি কখনো ছিলে না আমার।যেখানে আমি লিখতে পারিনা কোন কিছুই,সেখানে তোমাকে ভেবেই, লিখছি কি বুঝিনা আমি নিজেই।

২৪

২৪

গল্পঃ হলেও সত্যিই? 😅

একটি অনুষ্ঠান সেখানে তোমার উপস্থিত থাকবেনা তা হয় বল! আমি জানি তুমি দিব্যি ভাল আছ, তোমার নব্য প্রেমিক কে নিয়ে। কিন্তু জান?আমি সত্যি তোমাকে চেয়েছিলাম। খুব চেয়েছিলাম।কিন্তু আমি কি জানি, আমার একটু কমতি হলেই তুমি অন্য কারো হয়ে যাবে।বোকা আমি ভাবতাম আমাকেই তুমি ভালবাস, আমি এই তোমার সব।

আমার সেই অনুষ্ঠানে যাওয়ার মানে কি তাহলে! পেট পুরে খেতে? ধুর! অবশ্যই তোমাকে দেখার, তোমাকে পাবনা জেনেও তোমাকে পাওয়ার তীব্র আকাঙা নেওয়ার।

তুমি জান? আমি না, ভুলে অন্য পথে চলে গিয়েছিলাম, এই ভুল না গেলে হয়ত তোমার সাথে কখনও কোনদিন দেখা হতনা। মিরাকেল আর কি।

সে অনেক পথ পারি দিয়ে যখন নদী পারে রাস্তার মোর নিয়ে লঞ্চ ঘাটার দিকে অগ্রসর হব। হঠাৎ বুকটা ধুক করে অজানা ভয়ে কেপে উঠলো।

সামনে যতনা – একপা দুপা করে আগাচ্ছি, একটি মেয়ে ও ৩-৪ জন ছেলে দাড়িয়ে থাকতে দেখেছি।

আর বুকটা আরও ধুক ধুক করে কাপতে শুরু করল, আচ্ছা এই কি তুমি? তুমি তোমার সেই নব্য প্রেমিক! সত্যিই?প্লিজ প্লিজ এটা যেন তুমি না হও। এভাবে ভেবে আগাচ্ছি আমি।তুমি জান, তোমার প্রেমিক আমার নজরে বার বার নজর মিলাচ্ছিল।আর তুমি ছিলা তোমার প্রেমিকের বাহুডোরে। তোমাকে চাদর পড়িয়ে দিচ্ছিল। তোমাকে আদর করছিল।

জানো আমি সত্যিই তখন নিজেকে বুঝাচ্ছিলাম এটা তুমি না, অন্য কেউ।

কিন্তু তবুও তো আমি জানি, আমার মন জানে এটাই তুমি।

তুমি তখনও আমাকে দেখোনি, লঞ্চ এল, আমি এগিয়ে ঘাটের নিচে নেমে নদীর দিকটাতে তাকিয়ে ছিলাম কিছুক্ষন, আমি অনুভব করতে পেরেছিলাম, তুমি আমাকে পিছন থেকে দেখতেছ।

সবাই উঠলাম, আমি কেন জানিনা, তোমার চোখে একবার তখন তাকিয়ে ছিলাম। তুমি হয়ত একটু দেখেছিলে আমাকে।

তারপর, আমার ধুক ধুক থেমে গেল, মনে হল আমি শীতের হীমেল হওয়ায় একদম পাথর হয়ে গেছি। কিছু অনুভব করতে পারছিনা, মনে হয় যেন মরে যেতে পারতাম।

আমি জানো, তোমাদের মিষ্টি প্রেম দেখেছি। তোমাদের খুব হাসতে দেখেছি। তোমাদের দুজন-দুজনকে ভালবাসতে দেখেছি।

আমি আর তখন কিছু ভাবতে পারিনি।

পাথর হয়ে কিছু সময় কাটিয়ে দিলাম। লঞ্চ ভিরলো, সবাই নেমে গেল, হঠাৎ হুশ হল, ওহ হ্যাঁ আমারও নামতে হবে।

নেমে হেঁটে চলে যেতে চাইলাম তোমার থেকে খুব দূরে। ক্ষণিক বাদে তোমার চোখে আমার চোখ কিছু সময়ের জন্য  একবার পড়েছিল। আমি ইচ্ছা করেই না বোঝানোর ভান করছিলাম।

কিন্তু জান আমার ইচ্ছা করছিল, তোমাকে বাইক থেকে নামিয়ে জোরে বুকে জড়িয়ে ধরে বলতে চেয়েছিলাম, আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি। তুমি শুধুই আমার।

কিন্তু আমি জানি, তুমি তোমার বেস্ট মানুষকে পেয়ে গেছ। তোমার ভালোবাসাকে পেয়েছ। তুমি খুব হ্যাপি আছ।

আমি তোমাকে অনুষ্ঠানে দেখার জন্য ছটফট করছিলাম, তুমি আসোনি, আমি নিজেকে আর ধরে রাখতে পারিনি।

চলে আসছিলাম, আর তারপর সব নিচ্চুপ, ৫ টি দিন আমি , তুমি ও তোমার প্রেমিকের ভালবাসার মোমেন্টস এক মুহূর্তের জন্য ভুলতে পারিনি।

আমি তোমাকে কোনদিন ভুলতেও চাইনা।

তুমি আমাকে অনেক কিছু শিখিয়ে দিয়ে গেছ, যা সত্যিই তা, মিথ্যেও হতে পারে।

ভালবাসা, কাছে থাকার প্রমিজ, তোমাকে ছাড়া কিছু চাইনা বলা কথা, সব কিছু ভুলে নতুন করে জীবন সাজাতে হয় যেভাবে।

বিশ্বাস টা একদম ভেঙে চুরমার করে দিছ। আর শক্তি নেই।

আমি জানি আমি তোমাকে বিরক্ত করছি। আর করবনা বন না।

রাত ১ টা বেজে ৪ মিনিট, শেষের লাইন লিখে একটু আলসে দিয়ে প্রত্যয় বলে উঠল, এইসব জিনিস কে লিখে ভাই। তাও গল্পঃ আকারে অনলাইন আজকের পত্রিকাতে প্রেম ক্যাটাগুরিতে। যাক, আমার যেন এরকম উদ্ভট ঘটনা না হয়। কম্পিউটার কে সময় দিয়ে পারিনা আমার আবার প্রেম। হাহাহা।

Recent Posts